বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:০৬, সেপ্টেম্বর ২১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চাকরিচ্যুত করাসহ লাখ লাখ টাকার মালামাল আটকে রাখার অভিযোগে বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। কেমিস্টের পার্সেস অফিসার মো. সোহেল হাওলাদার বাদী হয়ে রোববার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর বাদীর আটকে রাখা মালামালসহ বিবাদীদের আদালতে সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবাদীরা হলেন- কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজের পরিচালক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান তুহিন, পরিচালক (মার্কেটিং) মশিউর রহমান তুষার এবং কেমিস্ট ল্যাবরেটরীজের নির্বাহী কর্মকর্তা (আইন) মো. আবুল হোসেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘ বাদী সোহেল আহমেদ কলেজ রো এলাকায় অবস্থিত কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটিডে পার্সেস অফিসার পদে ২০০৮ সাল চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরির সুবাধে তিনি আসামী মাহাবুবুর রহমান ও মশিউর রহমানের বাসার তৃতীয় তলায় বসবাস করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করাকালীন বাদী সোহেল আহমেদ তার বেতন বৃদ্ধির জন্য মালিক পক্ষকে অনুরোধ করেন। কিন্তু মালিক পক্ষ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কোন ধরণের নোটিশ প্রদান ছাড়া বাদীকে চলতি বছরের ১০ জুন চাকরিচ্যুত করেন। শুধু তাই নয় বাদীকে চাকরিচ্যুত করার সময় নিয়মানুযায়ী বেতন-ভাতা বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তারা তা করেননি। কোন ধরণের নোটিশ এবং দেনা-পাওনা না বুঝিয়ে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদী সোহেল আহমেদকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি বাদীর অফিসে থাকা ড্রয়ারে এনসিসি ব্যাংকের চেক বইয়ের তিনটি পাতা (নং-এস ৬৩৫২২১৬৭, এস ৬৩৫২১৬৯, এস ৬৩৫২১৭০) বিবাদীরা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোহেল আহমেদ চলতি বছরের ২৫ আগস্ট কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং-১১৪৬)। পরবর্তীতে বাদী জানতে পারেন ওই চেকের পাতায় ভুয়া স্বাক্ষর করে বিবাদী মাহাবুবুর রহমান ও মশিউর রহমানের সহযোগিতায় ৩ নম্বর আসামী আবুল হোসেন বাদী সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বাদী সাহেল আহমেদ মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ‘বিবাদীরা তার ব্যবহৃত একটি এফজেট মোটরসাইকেল (বরিশাল মেট্রো-ল-১১-১৭৯৬), একটি স্যামসাং ওয়াল টিভি, একটি এসি, একটি খাট, একসেট কাঠের সোফা, ফোম, একটি সোকেজ, লেপ-তোষক এবং আরও অনেক আসবাবপত্র জোর করে আটকে রাখেন। বাদী পরবর্তীতে তার মালামাল একাধিকবার নিয়ে আসার জন্য গেলে বিবাদীরা মামলামাল না দিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারা করায় বাদী বাধ্য হয়ে আদালতের শরনাপণ্ন হয়ে মামলা দায়ের করলে বিচারক ২০ সেপ্টেম্বর ওই আদেশ দেন। বাদী অভিযোগ করে বলেন- ‘মালামাল নিয়ে আদালতের নির্দেশনা জারির খবরে আসামীরা ওই মালামাল গোপনে ঘর থেকে সরিয়ে নেয়ার পায়তারা করছেন।’