নিখোঁজের ৪ দিন পরে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক- ২

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৫২, সেপ্টেম্বর ১৪ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥বরগুনার তালতলীতে ৪দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে দুলাল মুন্সী (৪০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাষাবাদের জন্য সিদ্দিক ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চরপাড়া গ্রামের রুস্তুম আলী মুন্সীর পুত্র দুলাল মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী মালিপাড়া গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে থাকতো। সেখানে শ্বশুর হাবিল সওদাগার ও তার ভগ্নিপতি সিদ্দিকের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১০ সেপ্টেম্বর দুলাল মুন্সী বাদী হয়ে সিদ্দিক ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে ৩ লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। এর একদিন পরে গত ১১ সেপ্টেম্বর মাহিনুর বেগম বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তালতলী থানায় দুলাল মুন্সীর বিরুদ্ধে পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর থেকেই দুলাল মুন্সী নিখোঁজ ছিলো। নিখোঁজের ৪দিন পরে আজ (সোমবার) ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তালতলী থানা পুলিশ উপজেলার চরাপাড়া এলাকার পেয়ারা বাগানের একটি কেওড়া গাছের সাথে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। দুলাল মুন্সীর পিতা রুস্তুম আলী মুন্সী জানান, আমার পুত্র দুলালের সাথে তার শ্বশুর হাবিল সওদাগর ও হাবিলের ভগ্নিপতি ছিদ্দিকের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কিছুদিন পূর্বে দুলালের টাকা চুরির ঘটনায় সিদ্দিক ও তার স্ত্রী মাহিনুরের বিরুদ্ধে আমতলী আদালতে মামলা দায়ের করার কারনে তারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুলালের পরিবারের পক্ষ থেকে তালতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছে পিতা রুস্তুম আলী মুন্সী। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চরপাড়া এলাকার পেয়ারা বাগানের একটি কেওড়া গাছ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নিখোঁজ দুলাল মুন্সীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ করায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে জিজ্ঞাষাবাদের জন্য ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে আটক করা হয়েছে।